কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবুল কাশেমের ইন্তেকাল।
মাহমুদুল :
বিশেষ প্রতিনিধি :
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় শেখ আবুল কাশেম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বর্ধক্যজনিত কারণে গতকাল ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ২ পুত্র ও ১ কন্যাসহ অসংখ্য গুনীজন রেখে গেছেন।
শেখ আবুল কাশেম ইংরেজ আমলে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বশিরহাট মহাকুমায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের পরে তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামে (বর্তমানে কলারোয়া পৌরসভা) তিনি বসবাস করেন। তার পিতা শেখ নাছির আলীর চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শেখ আবুল কাশেম ছিলেন সবার বড়। ১৯৫১ সালে তিনি পাকিস্থানী বিমান বাহিনীতে চাকুরি করতেন। এর পরে ১৯৫২ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৬ সালে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এক জন মেম্বর নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সাল থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সময়ে তিনি স্থানীয় লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদে টানা ৫ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালের কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মেম্বর থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত তিনি ৩৫ বছর জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে তাকে একবার জেলে যেতে হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ সুপারিশে তিনি কারা মুক্ত হন।
কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের প্রথম সভাপতি শেখ আবুল কাশেমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য, সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর, অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান ও সেক্রেটারী মাওলানা শাহিদুল ইসলাম।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মরহুম শেখ আবুল কাশেম ছিলেন একজন ইসলামের নিবেদিত খাদেম। তার মৃত্যুতে সমাজ একজন আদর্শ মানুষকে হারাল। শোক বিবৃতিতে নেতারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এবং জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থান এ দাফন করা হয়