বৈসম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের শহীদ আবদুল গনির ৪ হত্যাকারী গ্রেফতার।
ঢাকা প্রতিনিধি:
গতো ১৯-০৭-২৪ তারিখ ঢাকার শাহাজাতপুর এলাকায় আন্দোলন চলাকালে, মিছিলের উপর আওয়ামীপন্থি লোকেরা নিরস্ত্র আন্দোলনকারিদের উপর গুলি বর্ষন করলে আব্দুল গনি(৪৫) আহত হয়ে লুটিয় পরলে, সাধারণ জনতা তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোসনা করেন।এরপর এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ পরবর্তীতে আসামি ধরায় তাদের ফাদপেতে বিভিন্ন স্থানে আসামি খুজতে থাকে।গত ১৪ -১১-২৪ তারিখে কতিপয় কিছু আওয়ামীকর্মি পদ্মাক্লাব শরীয়তপুরের নাম ব্যাবহার করে, সভাপতির অনুপস্থিতিতে মিটিং এর কথা বলে, কোন এক বিজিপি অফিসারের নির্দেশে গুলশান এলাকায় একত্রিত হয়ে তিতুমির কলেজ আন্দোলনে লোক সংগ্রহ, ও অস্থিরতা বৃদ্ধির সংকল্পে মিলিত হন।
সোর্সের তথ্য পাইয়া গুলশান থানার এএসআই ( নিঃ) সামিউল ইসলাম, রাত্রিকালিন কর্তব্য পালন কালে, গুলশান এক শুটিং ক্লাবে ছুটে যান। আলোচনারত লোকজন টের পেয়ে বিভিন্ন দিকদিয়ে পালাতে সক্ষম হলেও চারজন টয়লেটে লুকালে পুলিশটিম তাদের সন্দেহাতিত ভাবে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
থানার এস আই ফরিদ উদ্দিন (নিঃ) সন্দেহ হলে, আবদুল গনি হত্যার বিষয়ে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তারা এই হত্যার সাথে জড়িত বলেস্বিকার করেন বলে এযাহার সূত্রে জানা যায়।পরবর্তীতে তারা নতুন করে কিছু একটা গোপন বিষয়ে আলোচনার জন্য সবাই একত্রিত হয়েছেন বলে একজন স্বিকার করে।পরে গুলশান থানা হতে তাদেরকে কোর্টে প্রেরন করা হয়।
৯০ দশক সময়কার বিভিন্ন পত্রপত্রিকার খবরে নিশ্চিত হওয়া যায় গ্রেপ্তারকৃত মনির হোসেন তপন ওরফে ফাইভ স্টার গ্রুপের মোল্লা তপন ( জলদস্যু তনাইমোল্লার ভাতিজা) ঢাকা বিশ্ব্য বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ ক্যাডার ছিলেন,সেই সাথে বর্তমান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগ উপকমিটির সদস্য।
মোঃ শাকাওয়াত হোসেন ওরফে সপন খা,( মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান সময়ের সাবেক কমান্ডার,শামসুল হক খানের ভাতিজা, ছাত্রলীগ ২০০৮ এর নাসিরখান, জাজিরা উপজেলার বড় ভাই।)ঐ সময়ের জাজিরা বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন,পরবর্তীতে তিনি মোজাম্মেল ভুইয়া ও ইকবাল হোসেন অপুর শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রিয়পাত্র ছিলো।গতো পৌরসভা ইলেকশনে ইকবাল হোসেন অপু এমপির মনোনিত গোপন প্রার্থি,লেঃ কর্নেল নজরুল, কর্নেল ইমরুল হাসানের জসিমের মনোনিত পৌরচেয়ারমান ইদ্রিস মাদবরের সমন্ধি।
সুজিত পাল(৫০) চাকুরিজীবি হলেও তিনি ছিলেন আওয়ামী পরিবার ও ইসকনের পৃষ্ঠপোষক,একাধিকবার তিনি ভারতের কলকাতায় গোপন মিটিংয়ে গিয়েছেন, যা তার ফেইসবুক পোস্টে প্রতিয়মান হলেও, তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় নি।
দেলোয়ার হোসেন জাজিরা উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা।যিনি গরিমার অহংকারে ঈদের জামাতো এককভাবে পরেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জাজিরার স্থানীয় আওয়ামি নেতারা এই বিষয়ে ফেইসবুকে সরব ও ঘৃনা জানাচ্ছে।সেই সাথে সময়ের প্রতিবাদ প্রতিশোধের পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে।
তবে এ ব্যাপারে আওয়ামিলীগ বা এদের পরিবারের পক্ষ হতে কোন সরাসরি বক্তব্য পাওয়া যায় নি।তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা নিজেদের নির্দোস দাবি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেন আমরা দুইদিনের রিমান্ড পেয়েছিলাম,অনেক তথ্য পেয়েছি,যা তদন্তের সার্থে প্রকাশ করা যাবে না।পরবর্তীতে সুবিধামতো জানানো যাবে।