অন্যান্য সংবাদ

গনপিটুনির শিকার হলেন জাজিরা মৎস অফিসের কর্মচারীরা। 

সানজীব মাহমুদ :

নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :

 

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচড় ইউনিয়ন পদ্মার একটি দ্বিপ ইউনিয়ন। বাবুরচড় তার একটি ব্যাস্ততম বাজার এলাকা।গতকাল রাতে দায়িত্ব পালনকালে এ বাজারে আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে দুইটি বোট নিয়ে, চা খেতে আসে জাজিরা উপজেলা মৎস অফিস প্রেরিত কর্মচারিরা।এ সময় তারা মৌসুমি জেলে ও আড়তদারের হামলার শিকার হন।

গত ২৯-১০-২০২৪ তারিখে সারাদিন পদ্মার এই চরে বোট নিয়ে অভিযান করেন,প্রকল্প পরিচালক, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, মোল্লা এমদাদুল্যাহ।এ সময় তিনি মৎস কর্মকর্তাকে পুলিশ ও সাংবাদিক বিহীন একা অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন বলে জানা যায়।

 

মৎস অভিযানে সবাইকে খাবার সরবরাহ ও নদীতে টহলের উদ্দ্যেশ্যে দুটি বোট নিয়ে,রিয়াদ(সহকারী উপজেলা মৎস্য অফিস)এর নেতৃিত্বে, মূলনদীতে যায় জাজিরা মৎস অফিস প্রেরিত জনবল।রাত আনুমানিক ১১.৩০ এর সময়,তারা হালকা খাবার চা ও রুটি খেতে বোট নিয়ে যায় বাবুরচর নামক বাজারে।এ সময় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে।প্রায় ৩০টি ট্রলার যোগে চারপাশ থেকে এসে, প্রথমে অভিযানে ব্যাবহৃত একটি বোট ডুবিয়ে দেয় ও আরেকটি বোট ভেংঙে ফেলে।এরপর তারা চায়ের দোকানে গিয়ে এলোপাতাড়ি সবাইকে মারতে থাকে একপর্যায়ে তাদের সাথে আড়তদারেরা যোগ হয়ে তাদের মারতে থাকে।এসময় মৎস অফিসের লোকজন পাশে থাকা নড়িয়া উপজেলার টহল টিমকে জানলে তারা উদ্বারে এগিয়ে আসে।

 

গুরতর আহত অবস্থায় জাজিরা উপজেলা সদর হাসপাতালে সেকেন্দার (৩৬)পিতা, কেরামত আলী সরদার, উত্তর তারাবুনিয়া সখিপুর, বাবুল হোসেন বাবু (২৫) পিতা জয়নাল শেখ, দাইমুদ্দিন মাদবরের কান্দি, পূর্ব নাওডুবা, রিয়াদ(২৮)ক্ষেত্র সহকারী উপজেলা মৎস্য অফিস,সাগর (৩০)ড্রাইভার উপজেলা মৎস্য অফিস, হাবিব (২২)আহমদ মাঝির কান্দি, মাঝির ঘাট,জিল্লুর রহমান(৪৫)সখিপুর, মুশফিকুর রহমান (২৭),চাঁদপুর,জামিল হোসেন( ২৮),চাঁদ পুর, সেকান্দার হোসেন ২৯স্পিডবোর্ড ড্রাইভারকে ভর্তি করা হয়।

 

এদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়ার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেকেন্দার (৩৬)পিতা, কেরামত আলী সরদার, উত্তর তারাবুনিয়া সখিপুর। বাবুল হোসেন বাবু (২৫)পিতা জয়নাল শেখ, দাইমুদ্দিন মাদবরের কান্দি, পূর্ব নাওডুবাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়।

 

বাবুরচর চিডারচর ঘুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সাধারন জেলে থেকে জানা যায়,বাবুরচরের মাছেরআরত ও মৌসুমি জেলেদের ভারা করে, মোস্তফা খা,পিতা মৃত আব্দুল খা।দেলোয়ার খা,পিতা মৃত বাদশা খা।জামাল ব্যাপারি পিতা মোবারক ব্যাপারি।এছাড়া চিডারচরের জেনারুল মল্লিক পিতা মৃত সালাম মল্লিক।কিরন মল্লিক পিতা হক সাহেব মল্লিক,সাহেদ মল্লিক পিতা রাজ্জাক মল্লিক সহ আরো অনেকে।এরাই মূলত এই চরের নদীতে সকল ধরনের অবৈধ কাজ করে থাকে।আর উপজেলা মৎস অফিসার, নৌপুলিশ এর কয়েকজন নিয়োগকৃত স্থানীয় দালাল আছে যারা এই বিষয়গুলো সমন্ময় করে থাকেন। যদিও এরা প্রত্যেকেই সাংবাদিককে এ বিষয়গুলো অস্বিকার করেন।

 

জাজিরা উপজেলা মৎস কর্মকর্তার মুঠোফোন রাতের হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন, গতকাল পিডি স্যার আমাদের যেভাবে সেট করে দিয়েছেন আমরা সেই আলোকে কাজ করছি।গত রাতের ঘটনা তাকে অবগত করেছি।তিনি এসে আইনানুগ ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button