মোঃ নাজির হোসেন:
স্টাফ রিপোর্টার :
কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বড়ালী বুঝতলা বাজারে বিএনপি, বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধায় বড়ালী ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় মিষ্টি বিতরন করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি ফারুক হোসেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারি মিন্টু, যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি জহুরুল ইসলাম ডাবলু, কলারোয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মেহেদী হাসান রাজু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আজহারুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়কও ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের নেতা খোরশেদ আলম, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ হাবিব, ছাত্রদল নেতা উজ্জ্বল হোসেন,রাকিব, মাহফুজ, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুল্লাহ,যুবদল নেতা ,মহাসিন,ইমাম,আব্দুল্লাহ, আব্দুর রশিদ সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
মেহেদী হাসান রাজু বলেন-বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।