খুলনায় এবারও শীর্ষে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা।
শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ.
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনায় এবারও আলিম পরীক্ষায় ফলাফলে শীর্ষে নগরীর ঐতিহ্যবাহী দারুল কুরআন সিদ্দিকীয় কামিল মাদ্রাসা। এ বছর খুলনা জেলায় এগারোটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে আলিমে জিপিএ-৫ ও শীর্ষ স্থান দখল করেছে, পাশের হারও শতভাগ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলনায় এগারোটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে নগরীর দারুল কুরআন সিদ্দিকীয় কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিমে ১১১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। খুলনা কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিমে ১০০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। তালিমুল মিলাত (রহঃ) ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৪৪ জন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৭৩ ভাগ।
মোহাম্মদ নগর মহিলা কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিমে ৪৪ জন অংশ গ্রহণ করেন। পাস করেছে শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন। নগরীর খান-এ সবুর মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৪ জন। এতে পাসের হার ৯১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। এতে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মিরেরডাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে শতভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।
দেয়াড়া যুগিহাটী আলিম মাদ্রাসা থেকে ২১ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে শতভাগ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। আটলিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে ২১ জন এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে শতভাগ। ফুলবাড়ি আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ২১ জন। এতে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। রূপসা দারুস সুন্নাত আলিম মাদ্রসা থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১১ জন। এতে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
খুলনা মহানগরীর দারুল কুরআন সিদ্দিকীয় কামিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ ইদ্রিস আলী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আলিমে খুলনায় ফলাফলে শীর্ষস্থান দখল করেছে অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, পাসের হার শতভাগের পাশাপাশি জিপিএ-৫ শীর্ষে রয়েছে। এ সাফল্যের জন্য মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।