জাজিরার লে. কর্নেল নজরুলের ক্ষোভ: মিডিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন রিপোর্টের প্রতিবাদ
সানজিদ মাহমুদ সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর :
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার কৃতিসন্তান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম রাসেল, বর্তমানে বিএনপির শরীয়তপুর-১ আসনের নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তার পিতা ছিলেন একজন মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বিএনপির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
গত শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুরের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলামের ক্ষোভের বিষয় সামনে আসে। সেই রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা চৌরাস্তায় ভগ্নিপতির ডাকে, একটি কাজের বিষয়ে সেখানে যান তিনি। সেখানে ভগ্নিপতির সাথে কাজ শেষ করে, এক বন্ধুর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, বনানী বা গুলশানের দিকে রওনা করেন।
কিন্তু কাকতালীয়ভাবে সেই দিনই মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে কিছু টিভি চ্যানেল নজরুল ইসলাম রাসেলের রেস্টুরেন্টে প্রবেশের দৃশ্য প্রচার করে। যা ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা আছে বলে ইঙ্গিত বহন করে। কিন্তু ওই প্রতিবেদনটি তার নজরে আসে, যখন তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানার পর তিনি গণমাধ্যমের উপর তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
জাজিরা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকরা বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি অভিযোগ করে বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা অনেক সময় সত্য যাচাই না করেই খবর প্রকাশ করেন। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আপনাদের বোঝা উচিত আমাদেরও পরিবার আছে। আপনাদের খুব ভেবে চিন্তে প্রতিবেদন করা উচিত। আমি বর্তমানে মালয়েশিয়া আছি। বাংলাদেশে ফিরে এই ঘটনার বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা করবো।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলাম। তখন অনেকেই আমার সাথে দেখা করতে আসেন। কিন্তু যদি তাদের কারো দ্বারা কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, সে দায় কি আমার? মিডিয়ার এমন আচরণ কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু আমি বিএনপির নেতৃত্বে আছি। তাই হয়তো কেউ আমাকে নেতৃত্ব থেকে দূরে সরাতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এমনটি করাতে পারে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অন্যায়কারীদের খুঁজে বের করতে খুব বেশি সময় নেবেনা। সত্য উদঘাটন হবেই। তিনি পালং-জাজিরার জনগণকে সত্য উদঘাটন হওয়া পর্যন্ত, ধৈর্য ধারনের আহ্বান জানান।