রূপসায় বাগমারা বাজার বণিক সমিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত।
শহিদুল্লাহ আল আজাদ:
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনা জেলায় রূপসা বাগমারা বাজার বণিক সমিতি নিয়ে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং ফুটপথের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় পূর্ব রূপসাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বণিক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলহাজ্ব আরাফাত হোসাইন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসাইন, সহ-সভাপতি হাসানাত, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল জব্বার, প্রচার সম্পাদক মোঃ হাসান শেখসহ সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ব রূপসায় একই স্থানে সামন্য দূরত্বে দু’টি বাজার রয়েছে। এর একটি হলো পূর্ব রূপসা বাজার ও অপরটি হলো বাগমারা বাজার।
এই দু’টি বাজারের রেজিস্ট্রেশনও আলাদা আলাদা। পূর্ব রূপসা বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা স্থান ও মাছের চান্দি (মাছ বিক্রির স্থান) থাকলেও বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ীদের তেমন আলাদা জায়গা ও মাছের চান্দি নেই। বাগমারা বাজারটির মূল অংশ বা সীমানা হলো খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সমিল থেকে পেট্রোল পাম্প এবং ব্যাংকের মোড় হতে রূপসা-বাগেরহাট পুরাতন সড়কের সংযোগ সড়কের বাগমারা দারুস সালাম জামে সমজিদ মার্কেট পর্যন্ত। ব্যংকের মোড় হতে বাগমারা দারুস সালাম জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ফুটপাতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছে।
এদের মধ্যে মাছ ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী রয়েছেন।
সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও উপজেলা প্রশাসন আমাদের বাজার তদারকি করতে এসে ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার আলোকে আমরা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ কয়েকদিনের সময় নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকান ঘর নিয়ে যারা ব্যবসা করেন তারা তাদের দখলে থাকা ফুটপাত ছেড়ে দিলেও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা পড়েন মারাত্মক বিপাকে।
এমতাবস্থায় আমরা সবার সাথে পরামর্শ করে ব্যাংকের মোড়ে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশের ৫০ ফুট জায়গার ১০ ফিট ফুটপথ রেখে বাকী স্থানে বিকেল ৪টা থেকে রাত পর্যন্ত তাদের অস্থায়ীভিত্তিতে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ব্যবসা করার পরিবেশ সৃষ্টি করি। এরপর থেকে ওই সব ফুটপথের মাছ ও কাঁচা তরিতরকারি বিক্রেতারা কোন প্রকার ভাড়া প্রদান ছাড়া খুব আনন্দের সাথে ব্যবসা করছেন। এতে বাজার সড়কটি যানজট মুক্ত হয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ফুটপথের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের এই বিষয়টি মানতে পারছেনা বাজারের কয়েকজন ঘর মালিকসহ কতিপয় ব্যক্তি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে ফুটপথের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বাগমারা বাজারের কতিপয় দোকান ঘর মালিক ও পূর্ব রূপসা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আমাদের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার করে আমাদের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে চলেছেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে ৪ জন অভিযোগকারী হলেন পূর্ব রূপসা বাজার বণিক সমিতির সদস্য মীর ফিরোজ, খায়রুল আলম খোকন এবং বাগমারা বাজার বণিক সমিতির সদস্য ইশারাত শেখ ও মহসিন শেখ।
এই চার জনের মধ্যে মীর ফিরোজ ও খায়রুল আলম খোকন হলেন পূর্ব রূপসা বাজার বণিক সমিতির সদস্য। আমাদের বণিক সমিতি কিভাবে চলবে বা সমিতিভুক্ত ব্যবসায়ীদের কিভাবে পুনর্বাসিত করা হবে তা একান্ত নির্বাচিত কমিটির ব্যাপার। এখানে তাদের মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই। অপর দু’জন হলেন আমাদের বাজারের ইশারাত শেখ ও মহসিন শেখ। এই দু’জনের মধ্যে ইশারাত হোসেন আমাদের বণিক সমিতির সদস্য হলেও তার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। তিনি একজন দোকান ঘর মালিক। অপরজন মহসিন শেখ বাজারের নতুন ব্যবসায়ী ও দোকানঘর মালিক। যিনি এখনো আমাদের বণিক সমিতির সদস্যপদ লাভ করেননি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাচারে লিপ্ত না হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সাংবাদিকদের সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক সঠিক তথ্য জনসম্মুখ্যে তুলে ধরার আহ্বান জানান।