সেলিম খান:
কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কলারোয়া উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১৯ আগষ্ট বিকাল ৫টায় কলারোয়া বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে কলারোয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌর যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন, কলারোয়া কলেজের সাবেক ভিপি রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোশারফ হোসেন, কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, সালাউদ্দিন পারভেজ, আবু জাফর, মফিজুল, সামিউল আজম চঞ্চল, হাবিব, রিপন, আলী হাসান, রিজার্ভ ফর হোসেন, আলম, ইসারুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা ১ তালা কলারোয়ার সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনার সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি এবং সকল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হইবে।
বিগত ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কলারোয়া শাখার সংঘটিত ডাকাত কালে ২ জন নৈশ্য প্রহরী হত্যা মামলা পুণঃ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের চিহ্নিত পূর্বক বিচারের নিমিত্তে আইনের আওতায় আনিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
বিগত ২০১৩ সালের ৫ ই মার্চ কলারোয়া উপজেলা বিএনপির মিছিলে বোমা হামলা করিবার নিমিত্তে কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বোমা প্রস্তুতকালে বিস্ফোরিত হইয়া ১ জন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে এবং ৩ জন বোমা বিস্ফোরণে মারাত্মক জখম হয়ে কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকাকালে থানায় বর্ণিত ঘটনা সংক্রান্ত যে মামলা রুজু হয় উহা পুনঃ তদন্তপূর্বক জখম প্রাপ্ত তিনজন ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের চিহ্নিতপূর্বক বিচারের নিমিত্তে আইনের আওতায় আনিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হবে।
বিগত ২০০০ সালের ২রা মার্চ কলারোয়া সরকারি কলেজ অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার সময় পদপৃষ্ঠে নিহত হয় লিপি,ফাজিলা, হাবিব ও মামুন। নিহত ব্যক্তিদের শোক সমতলে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর উদ্দেশ্যে ২০০০ সালের ১৮ই মে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলারোয়ায় আগমন উপলক্ষে বলফিল্ড ময়দানে জনসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ঐদিন অর্থাৎ ১৮ই মে কলোরোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বলফিল্ড ময়দানে নিমিত মঞ্চসভা ভাংচুর করে। তখন আমাদের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রফিকুল ইসলাম আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিবৃত করা চেষ্টা করলে তারা মাস্টার রফিকুল ইসলামের উপর হামলা করে যার কারণে তিনি রক্তাক্ত যখন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং সেই সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জনসভা স্থান দখল করে নেয় যার প্রেক্ষিতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে জনসভা বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীকালে ২০০২ সালের ৫ই অক্টোবর বন্যায় প্লাবিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৎকালীন বিরধী দলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সড়কপথে কলারোয়ায় আসার সময় সাতক্ষীরা জেলার প্রতি মধ্য ঝাউডাঙ্গা কলেজের সামনে পৌঁছানো মাত্রই সন্ত্রাসীরা সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর গতিতিরোধ করে হামলা চালায় ও নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করে। যে কারণে ওখান থেকেই তিনি বিবিসি তে সাক্ষাৎ দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।
তারপরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও পুলিশ প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কলরোয়া বাজারের চৌরাস্তায় নির্মীত সভামঞ্চে হামলা চালায় ভাঙচুর করে এবং পুলিশ প্রশাসন রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আবার ঐদিন রাতেই আমাদের ৪৬ জন বিএনপি’র নেতা কর্মী নামে জননিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আমরা আদালতে আত্মসমপন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আমাদের সকলকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কয়েকদিন কারা ভোগের পর আমরা জামিনে মুক্ত হই। উল্লেখিত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিতপূর্বক বিচারের নিমিত্তে আইনের আওতায় আনিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
উপরোক্ত এক নাম্বার কলমে বর্ণিত রাজনৈতিক মামলায় সৃষ্টিতে অর্থ যোগদাতা ইন্ধনদাতা প্ররোচনাকারে ও শপথ সহকারে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারে ব্যক্তিগত যাহারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তাহাদের চিহ্নিতপূর্বক বিচারের নিমিত্তে আইনের আওতায় তাদের চাকুরী দায়িত্ব হতে অবতী প্রদানে ব্যবস্থা করিতে হইবে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলারোয়া উপজেলা পরিষদ কলারোয়া,পৌরসভা কলারোয়া, সরকারি জি কে এম কে পাইলট হাই স্কুল, কলারোয়া গার্লস পাইলট স্কুল, কয়লা হাই স্কুল, বেগম খালেদা জিয়া কলেজ, ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউট।