অন্যান্য সংবাদ

জাজিরায় পরকিয়ার জের ধরে সন্ত্রাসি হামলা।

সানজিদ মাহমুদ সুজন,

নিজস্ব প্রতিবেদক শরীয়তপুর:

 

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার পদ্মা দক্ষিন থানার পশ্চিম নাওডোবা আলাউদ্দিন খন্দকারের উপর পরকিয়া সম্পর্কের কারনে,গত ২৩ জুন আনুমানিক রাত ৯ টায় খলিল ফকির (১৮) ও সানাউল্লাহ ফকির (১৬) উভয় পিতা মতি ফকির এর নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্র মতে জানা যায় নাওডোবা ছদর আলী মাদবর কান্দি নিবাসী মতি ফকিরের স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার সম্পর্কে লিপ্ত আছেন এই আলাউদ্দীন ফকির।এলাকায় এই সম্পর্কের কথা ছরিয়ে পরলে এলাকার গন্যমান্যরা আলাউদ্দিন খন্দকারকে সম্পর্কে না থাকা ও ঐ গ্রামে যেতে বারন করেন।তারপরও তাদের এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকে বলে শোনা যায়।

 

২৩ জুন দিবাগত রাত ৮.৩০ মিনিটের দিকে স্বপন মাদবর ও তার খালাতো ভাই আলাউদ্দিন খন্দকারকে নিয়ে পালেরচড় এক বিয়ে বাড়িতে যাবার উদ্দেশ্যে বেড় হন।পথিমধ্যে স্বপন মাদবর, আলতাফ মুন্সির বাড়ির সন্নিকটে গিয়ে মটর সাইকেল থামিয়ে আলাউদ্দিন খন্দকারকে রাস্তায় রেখে তার পরিচিতর বাড়িতে যান কথা বলতে।এ সময় রাস্তা হতে খলিল,সানাউল্লাহ ফকির তার কয়েকজন বন্ধু মিলে আলাউদ্দিন খন্দকারকে ধরে পাশের একটি বার্ড়ির পিছনে নিয়ে মারধর ও ধারালে অস্ত দিয়ে আঘাত করেন।জীবন বাচাতে আলাউদ্দিন খন্দকার দৌড়ে আলতাফ মুন্সির বাড়িতে আশ্রয় নেন।অপর দিকে স্বপন মাদবর তার গাড়ির কাছে ফেরত এসে আলাউদ্দিন কে না পেয়ে খোজাখুজি করেন ও মুঠোফোনে ফোন দেন।পরবর্তীতে তিনি মোবাইলে জানতে পারেন ও আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

 

এসময় স্বপন মাদবর সাংবাদিককে বিষয়টি ডাকাতি হিসাবে প্রচার করার অনুরোধ করেন।এ নিয়ে মামলা করবে কিনা জিজ্ঞেসা করায় আলাউদ্দিন খন্দকার বলেন, পরবর্তী দিন সকলের সাথে কথা বলে তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।

 

ঘটনার পরে খলিল ফকির, সানাউল্লাহ ফকিরের সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

 

জাজিরা থানা ও পদ্মা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি, যদি পাই তাহলে ঘটনার তদন্ত করে আইনানুসারে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থ্যা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button