স্পাইন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহমুদুল হাসান পলাশের সিঙ্গাপুর থেকে স্পাইন এর উপর ফেলোশিপ ডিগ্রী অর্জন।
বিশেষ প্রতিনিধি:
শেখ মাহমুদুল হাসান:
কলারোয়া সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান স্পাইন ও অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল থেকে এও স্পাইন এর উপর ফেলোশিপ শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তিনি কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের হাটুনী গ্রামের গর্বিত পিতা শহিদুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ স্পাইন সার্জারির একটি মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপ AO Spine Fellowship সম্পন্ন করতে প্রশিক্ষণ জন্য ৩০ দিন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে অবস্থান করে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। তিনি মেরুদন্ডের উন্নত চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি মাধ্যমে স্পাইন সার্জারিতে ফেলোশিপ শেষে ২ জুন দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এর আগে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালের স্পাইন সার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ গ্যাব্রিয়েল লিউ কাছ থেকে ফেলোশিপ সনদ গ্রহণ করেন। তিনি চিকিৎশাস্ত্রের এই অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করে রোগীদের সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন।
তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন শেষে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করে উন্নত চিকিৎসায় সেবা প্রদানে রোগীদের কাছে তিনি দায়বদ্ধ। তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্পাইন সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীরাও যাতে স্পাইন সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা পায়, সেজন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতি দ্রুত স্বতন্ত্র স্পাইন ইউনিট প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরার সকল সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা এবং সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
ডা. মো মাহমুদুল হাসান (পলাশ) দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র স্পাইন সার্জন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক (স্পাইন সার্জারি) সংযুক্তিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই শিক্ষক ভারতের দিল্লিতে দশ দিনের একটি ফেলোশিপ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়াও, তিনি মেলবোর্ন, মুম্বাই, গুজরাট, চেন্নাই ও আসাম থেকেও মেরুদন্ডের চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দেশি-বিদেশি গবেষণা জার্নালে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কনফারেন্সে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণ করে আসছেন।