কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ফরহাদ হোসেন এর মারধরের শিকার বৃদ্ধা।
তারেক :
বিশেষ প্রতিনিধি:
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত কিছু দিন যাবত চিকিৎসা নিয়ে আসছে কলারোয়া উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের সুফিয়া খাতুনের স্বামী শেখ আবু তালেব।
হঠাৎ গত রাতে আবু তালেব এর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি জরুরী বিভাগের কর্তবরত চিকিৎসাক কে জানান তার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। তিনি সকল ৮ টার দিকে আবার জরুরি বিভাগে যান ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানভীর জাহান, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ফরহাদ হোসেন, ওয়ার্ড বয় শরীফ হোসেন সহ এক জন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
সিসি ক্যামেরায় ফুটেছে দেখা যায় কথা বলার এক পর্যায়ে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফরহাদ হোসেন সুফিয়া খাতুন কে ঘাড় ধাক্কা দেয় এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার মুখে আঘাত করে। পরে ওয়ার্ড বয় শরিফ হোসেন দৌড়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং সুফিয়া খাতুনকে জরুরী বিভাগের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী সুফিয়া খাতুন বলেন আমার স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ। আমি অর্থের অভাবে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারছি না, যে কারণে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখেছি। আমার স্বামীর শারীরিক অবস্থা গতরাতে অবনতি হলে আমি প্রথমে নার্সদের কাছে যাই তারা আমাকে নিচে ডাক্তারের কাছে যেতে বলেন, আমি নিচে গিয়ে ডাক্তারদেরকে বললে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয় নি পরবর্তীতে সকালে আবারো আমি ডাক্তারের কাছে যাই সেখানে আমাকে বলেন আপনার রোগী এখন নিয়ে চলে যান।
কথা বলতে বলতে ফরহাদ হোসেন আমার ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছিলো আমি তাকে বলি আমার গাঁয়ে হাত দিচ্ছেন কেন? হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আমার মুখে আঘাত করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুর রহমান জানান বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং সিসি ফুটেজ দেখেছি এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা আমরা খুব দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি করে দোষীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো।
অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেনের সাথে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি 01886881715
এবিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী সুফিয়া।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, অভিযোগ পেয়েছি আইন আইনগত ব্যবস্থা নেব।