অন্যান্য সংবাদচাষাবাদ ও কৃষি

তালতলীতে বিরোধীয় জমির ধান জিম্মায় রেখে একতরফা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

সাইফুল্লাহ নাসির,

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

 

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজী মোঃ ইউনুস এর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমির ধান জিম্মা থাকলেও একতরফা ধান দিয়ে দেওয়ার অভিযোগো সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাখাইন উপজাতি চিন্তা অং মগ। সোমবার (২৫ মার্চ) তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

তিনি বলেন,তার অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যানের কাছে জিম্ম থাকলেও ওই চেয়ারম্যান কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে প্রতিপক্ষ মৌলভী ফজলুল হক নাজির গংদের ধান দিয়ে দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়েনর আমখোলা এলাকার রাখাইন উপজাতি চক্রাফ্রু মগ নিসন্তান এর মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সুত্রে তার ভাই নলা অং মগ জমির মালিক হয়। নলা অং মগ গং এর কাছ থেকে বায়না সুত্রে ৮ একর জমি প্রায় ২০ বছর আগে ক্রায় করছে একই এলাকার আবদুল আলতাফ মোল্লা গং।

এ ঘটনায় ওই জমি নিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং মামলা করছে আলাদতে। এর পর ওই জমি আদলাত ফজলুল হক গং তাদের পক্ষে রায় দেয়। পরবর্তীে চিন্তা মং মগ ওই রায়ের উপর হাই কোর্টে আপিল করেন। আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এর পরে ফজলুল হকের ভাই আবদুল দাইয়ান নাজির এডিএম কোর্টে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। কিন্তু কোর্ট রায় দিয়েছে চিন্তা মং মগ এর পক্ষে।

 

২০১২ সালেও নলা অং মগ গং ওই জমি নিষ্পত্তি ও রায় পায়। কিন্তু জোর করে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং চাষাবাদ করে। চিন্তা মং মগ এ ব্যাপারে বাধা দেয়। থানায় অভিযোগ গড়ায়। উভয় পক্ষের জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান একতরফা চিন্তা অং মগকে না জানিয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং তাকে ধান দিয়ে দেয়।

 

চিন্তা অং মগ বলেন, বিরোধী জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলে এছাড়াও এই জমি নিয়ে একাধিকবার সালিশিতে বসেছি আমরা। উভয় পক্ষের ঝামেলার কারণে জমির ধান চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মা ছিলো। চেয়ারম্যান কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আমার ধান প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেওয়ায় আমি অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।

 

এ বিষয়ে মৌলভী ফজলুল হক নাজির গং ধান নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, থানা ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ধান পেয়েছি আমরা।

 

সোনাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরাজি মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নাই। পরবর্তীতে খুঁদে বার্তা দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন,চেয়ারম্যানের কাছে ধান জিম্মায় ছিল। তিনি প্রতিপক্ষকে ধান দিয়ে দিলে দিতে পারেন। যখন প্রয়োজন হবে চেয়ারম্যান সেটা হাজির করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button