অন্যান্য সংবাদ

লেতরা খালের মধ্য হতে “মাটি ব্যবস্থাপনা আইন – ২০১০” লঙ্ঘন করে ড্রেজিং চলছে।

মোঃ আবুল কাশেম,

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল,

 

ভূয়া লেতরা নদী বন্দর বা ভূয়া শশীভূষণ নদী বন্দর রক্ষার নামে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ও এওয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী শশীভূষণ প্রনালী বা লেতরা খালের মধ্য হতে “মাটি ব্যবস্থাপনা আইন – ২০১০” লঙ্ঘন করে ড্রেজিং চলছে। উক্ত ড্রেজিং এর নামে কতিপয় ভূমি খেকো মাটি দস্যু দিনে ও রাতে খালের মাটি তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঐ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের কলমীর মোড় হতে উত্তর দিকে আনুমানিক সাতশত গজ অগ্রবর্তী হলে লেতরা খালের উপর প্রায় একশত গজ লম্বা একটি নয়া নির্মিত ব্রীজ দেখা যায়। উক্ত ব্রীজ হতে ব্রীজের নীচের শশীভূষণ খাল বা লেতরা খালের মাটি অপহরন চলছে।

 

অপহরনকৃত মাটিগুলো ড্রেজারের পাইপ দিয়ে রসুলপুর এলাকার কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খালের গভীরতা বৃদ্ধির নামে “মাটি ব্যবস্থাপনা আইন – ২০১০” লঙ্ঘন করে খালের মাটি সরিয়ে নেওয়ার কারনে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেক জমি ও খালের নিকটবর্তী ঘরবাড়ি ভেঙ্ঘে ঐ লেতরা বা শশীভূষণ খালের মধ্যে তলিয়ে যাবে। উক্ত ড্রেজিং এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক মোঃ আবুল কাশেম কর্তৃক তার পিতা-মাতার নামে ক্রয়কৃত জমির স্থানীয় বর্তমান মূল্যের প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার জমি ঐ শশীভূষণ খালে বা লেতরা খালে তলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো জমি তলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। বিগত কয়েক বছরের খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে যে, ভূমি খেকো মাটি দস্যুরা এক এক বছর এক এক রুপ ধারন করে স্থানীয়দের জমিজমার মাটি লুটপাট করে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ স্থাপনের পর বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতীকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার দিক-নির্দেশনা প্রদান করলে ১৯৭২ ইং সালে ঐ এলাকার (তদানীন্তন মাইনকা ইউনিয়ন, বর্তমানে এওয়াজপুর ইউনিয়ন) জনৈক শাহ মোঃ হানিফ মতান্তরে হানিফ দরজি নিজেদের জমি-জমার উন্নয়নের জন্য তার দলবল সহকারে মাটি কেটে দরজি বাড়ির পশ্চিমের হালট বা রাস্তা তৈরি করে। ঐ সময় নয়া স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের বিরুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিয়জি নামের এক মেজর বাংলাদেশের নারী ও যুবতিদেরকে বৈধভাবে কিংবা অবৈধভাবে গর্ভবতী করার গোপন নির্দেশনা দেয়। যাতে দেশ গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিতরা স্বীয় কর্ম হতে ছিটকে পরে। পাকিস্তানী উক্ত মেজর নিয়াজির নির্দেশনায় সমগ্র বাংলাদেশের বহু মহিলাদের মত — ঐ শাহ মোঃ হানিফ মতান্তরে হানিফ দরজির স্ত্রী রোসনা বেগমও ১৯৭২ ইং সাল গর্ভবতী হয়। দেশের উন্নয়ন ঠেকানোর এই নারী গর্ভায়ন নামক অস্র ঠেকিয়ে স্থানীয় মোস্তফা দেওয়ান তার দলবল সহকারে ঐ হালট বা রাস্তার মাটিগুলো রাতের আঁধারে ঐ শশীভূষন প্রনালী বা লেতরা খালে তলিয়ে দেয়।

আরো খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায় যে, ১৯৭২ ইং সালে ঐ রোসনা বেগমের গর্ভজাত সন্তান জসিম দর্জিকে ঐ রসুলপুর এলাকার আলম পন্ডিতের ঘরের ব্যবসায়িক দেখাশুনার কাজে ব্যস্ত রেখে এবং রোসনা বেগমের এক বোনের ছেলে সাহাবুদ্দিন পন্ডিতকে এওয়াজপুর এলাকার দুই নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য করে উক্ত খালের মাটি অপহরন চলছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর জমি-জমা রক্ষার জন্য, ঐ খালের মাটি অপহরন বন্ধের উদ্দেশ্যে, লেতরা নদীর ভূয়া বন্দর বা ভূয়া শশীভূষণ নদী বন্দরকে কলমীর ব্রীজের কাছে কিংবা বকশী বন্দর এলাকায় কিংবা আন্জুর হাটের নিকটবর্তী বাংলাবাজার ঘাটে নেওয়া প্রয়োজন। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শশীভূষণ বন্দর রক্ষার নামে এইভাবে খাল কেটে কুমির ঘরোয়া করার দ্বারা রাষ্ট্র অনেক রাজস্ব হারা হচ্ছে। যা শশীভূষন বাজার এলাকার স্মাগলাররা করে যাচ্ছে।

অদ্য হতে প্রায় ত্রিশ বছর আগে ঐ খালে ঢাকা-লেতরা পরিবহনের লঞ্চ চলাচল করত। বর্তমানে এলাকার আধুনিকায়নে ঐ ধরনের আর কোন লঞ্চ স্টীমার ঐ খাল দিয়ে চলাচলের সুযোগ নাই। তাই খাল ড্রেজিং করার নামে অযথা সরকারী টাকা লোপাটের উদ্দেশ্যে স্থানীয় ভূমি বিরোধ বিবাদ বাড়ানোর কোন মানে হয় না।

 

এছাড়াও আরো এক খবরে জানা গেছে যে, ঐ সাংবাদিক মোঃ আবুল কাশেম তার বিশ্রামের সব সময় ঐ খাল পাড়ের বাড়ীতে ঘুমায় বিধায় তার গুপ্ত স্ত্রী (বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২) নং ধারার স্ত্রী/বউ, ব্যক্তিগত আইন’ ১৯৩৯ এর উইল মতের বউ/স্ত্রী, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৫(২) নং ধারার স্ত্রী/বউ, বিবাহ আইন’ ২০০৯ ও বাংলাদেশের সংবিধানের ২৬ নং ধারার সংঘর্ষের / বিরোধের নিষ্পত্তি অনুযায়ী স্ত্রী/বউ, বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের রেজুলেশনের দ্বারা সৃজিত স্ত্রী/বউ, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের কোন নয়া রেজুলেশনের দ্বারা সৃজিত স্ত্রী/বউ কিংবা বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ নং ধারার স্ত্রী/বউ) গুপ্ত স্বামীকে (খৃষ্টীয় নয় সালের পারবতী দেবতার মত — মনমত নিজের কাছে না পাওয়ায় ও মনমত নিজের চোখে দেখতে না পাওয়ায় সাংবাদিকের খালপাড়ের ডরমেটরিটির জলাঞ্জলীর জন্য আরাধনায় নিয়োজিত হওয়ার কারনেও তার আত্মীয়-স্বজনদের ব্যবস্থাপনায় ঐ ড্রেজিং চলছে। তবে এই ধরনের ড্রেজিং করে অনেক কিছু জলের তলে তলিয়ে দিলেও বিষ্ঞু হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য পার্বতী দেবতার মত কোন গুপ্ত স্ত্রী তার গুপ্ত স্বামীকে হাতের কাছে পাওয়ার বিধাতাগত গ্যারান্টি নাই।

 

তাই ইশ্বরিক বা ঐশ্বরিক কোন ভাবেই ভূয়া লেতরা নদী বন্দর বা ভূয়া শশীভূষণ নদী বন্দর রক্ষার নামে লেতরা নদী বা শশীভূষণ নদী ড্রেজিং করে বাংলাদেশের মাটি ব্যবস্থাপনা আইন’ ২০১০ লঙ্ঘনের কোন বৈধতা নাই। ছবিতে – ভূয়া লেতরা/শশীভূষণ নদী বন্দর, ড্রেজিং স্থানের চলমান নৌ-পরিবহন, ড্রেজিংয়ের কারনে বাড়িঘরের জমি-জমা জলের তলে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এবং ড্রেজিংয়ের পাইপের মাধ্যমে মাটি অপহরনের দৃশ্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button