কলারোয়াশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মহামান্য হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনে সোনাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আর্থিক দূর্নীতির কারণে অপসারনে রুল ও ডাইরেকশন আদেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এস আর ও নং ১৫৩/আইন/২০০৯ তারিখ ১৬ জুন ২০০৯ খ্রিঃ ৭৩৮ ধারা অনুযায়ী গত- ২০/১২/২০২১ ইং তারিখে মোঃ আমজাদ হোসেন, পিতাঃ মৃত দাউদ আলী সরদার, গ্রাম- নাকিলা, ডাকঘর- কেরালকাতা, উপজেলা-কলারোয়া, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনীত প্রিজাইডিং অফিসারের অধীনে সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সরাসরি ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যে কোন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের প্রথম কার্যদিন ১২/০৩/২০২২ ইং তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপনের ধারা-৭ এর উপধারা (জ) অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ের যে কোন কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে বিদ্যালয়ের নানাবিধ আর্থিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। তখন তিনি বিদ্যালয়ের আর্থিক দূর্নীতি/ অনিয়ম বন্ধ সহ বিদ্যালয়ের উন্নতির লক্ষ্যে অনুমোদিত কমিটিকে ২০১৮ জানু হতে ২০২২ সনের ৩১ শে আগষ্ট পর্যন্ত বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় ও অনুদানের হিসাব প্রস্তুতের জন্য সভা আহবান করতে বলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক/ কমিটির সদস্য সচিব ও তার অনুসারীরা উক্ত সভা ও আর্থিক হিসাব প্রদানে বাধা প্রদান করেন।

 

সভাপতি তখন গত ১৩/০৯/২০২২ তারিখে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দূর্নীতি রোধে অডিট করার আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের পেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্মারক নং ০৫.৪৪.৮৭৪৩.০০০.৩৩.০১৮.২২-১২৬৬ তাং ১৮/০৯/২২ খ্রিঃ তিন (৩) সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি গঠনের দীর্ঘদিন পার হলেও অডিট রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হলে সভাপতি গত ১২/১০/২২ তারিখে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট একই বিষয়ে আবেদন করেন। উক্ত বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি সুরাহা না করায় সভাপতি মাননীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশে পরিচালক, পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/ সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাৎ সহ বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত পূর্বক আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিচালক, পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তর, স্মারক নং-৩৭.১৯.০০০০. খুলনা-২৩৮/২১ তাং-২২/০৫/২০২৩ খ্রিঃ চিঠির মাধ্যমে দুই (২) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি “সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ গত ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্বসাৎ এর অভিযোগের তদন্ত করেন।

 

তদন্ত শেষে উক্ত কমিটি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান ও তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক শাস্তি সুপারিশ করে স্মারক নং-৩৭.১৯.০০০০.০৫৬.১৬.০৪১.২৩.৫৭ তারিখ: ২২ শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হওয়ার পরও অধিদপ্তরের অডিট কমিটির সদস্যদের প্রস্তাবিত সোনাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক শাস্তির ব্যবস্থা না হওয়ায় সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-২১৯২/২০২৪ দাখিল করেন।

 

মহামান্য হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রিটের দীর্ঘ শুনানী শেষে কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না এই মর্মে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে রুল নিশি জারি করেন এবং সভাপতির দাখিল করা আবেদনটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা পূর্বক আদেশ প্রদান করেন।

 

সভাপতির করা রিট পিটিশনটি শুনানী করেন মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের জৈষ্ঠ আইনজীবী জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন (সদ্য সাবেক মাননীয় মন্ত্রী, রেল মন্ত্রণালয়) সাথে উক্ত রিটের ফাইলিং আইনজীবী জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ সহ অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button