জাজিরায় আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২
সানজিদ মাহমুদ সুজন,
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুলিশের উপরে হামলা করে মাদককারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায়,রহিম মাদার(৬০)পিতা মৃত দলিলউদ্দিন মাদবর-গ্রাম বড় গোপালপুর বালিয়াকান্দি থানা জাজিরা।রিয়াজ আকন-(১৬),পিতা- রসিদ আকন গ্রাম বালিয়া-কান্দি,জাজিরাকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করে জাজিরা থানা পুলিশ কিন্তু মূল অভিযুক্তরা ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাজিরা থানার এএসআই বেলাল ও তার সঙ্গে থাকা তিন পুলিশ সদস্য জোহান, সবুজ ও ফারুক মিলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সূর্যমণি বাজারের বালুর মাঠের পিছনের নদীর পাড় থেকে আনুমানিক ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ স্থানীয় আরিফ (২৮) ও যুবলীগ নেতা সাগর মাদবরের বড়ভাই সবুজ মাদবর (৩২)কে আটক করে।খবর পেয়ে
সাগর সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় মাদক কারবারি ও জুয়াড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত ডাকাত বলে পুলিশকে মারধর করে।
এসময় পুলিশকে অবরুদ্ধ করে গাঁজা সহ আটক করা আরিফ ও সবুজকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সাগর। পরে অবরুদ্ধ করা পুলিশ সদস্যদের কিল-ঘুষি মারতে থাকে সবুজ সাগর সহ তাদের সঙ্গে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা।
ঘটনা বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়।
এরপর জাজিরা থানা পুলিশ পুলিশদের উদ্ধার করে জাজিরা নিয়ে আসে এবং থানায় মামলা করেন।গনমাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ফুটে উঠলে, জনমনের প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় এনে পর পরেই চিরুনি অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে আসামির খোজে মাঠে নামে এবং ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে যুবলীগের নামধারী, বিএনপি পন্থি কিছু কর্মি ঐ সময়ে পুলিশের বিপক্ষে ডাকাত হিসাবে চিহ্নিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব এবং স্থানিয় সাংবাদিকদের নিউজ করলে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার সার্থে একজন ইউপি মেম্বার ভোরের কিরনকে বলেন অত্র এলাকায় মাদককে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রুপের তৈরি হয়েছে, যারা আধিপত্য বিস্তারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত।তাই তার অনুরোধ এই গ্রুপগুলো যাতে সম্পূর্ন বিনাশ হয়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।খুব শিগ্রই মাদকের মুলহোতা সহ সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।আর এলাকার মাদক ব্যাবসায়ীদের ধরতে আমাদের শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধ পরিকর।