মুর্তিমান আতংকের নাম জুতা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক।
সেলিম খান :
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ;
কলারোয়া উপজেলা পৌরসভাধীন রিপন সুপার মার্কেটের সুপার সম্রাট সু’ র প্রো: মো: আব্দুল খালেক করেন দোকানদারি কিন্তু তিনি সব সময় সাথে রাখেন বখাটেদের প্রধান অস্ত্র হকিস্টিক।শুধু রাখেন না – কথায় কথায় হামলা ও চালান সবার উপরে। কিছুদিন পূর্বে পাশের দোকানদার কে হামলা চালিয়ে ১৫দিন শ্রীঘরে ছিলেন।
এই দোকান মালিক আব্দুল খালেক কে? ক্ষমতার উৎস কি? জানেন না কেউ তবে স্থানীয় মার্কেট ব্যাবসায়ীদের কাছে আতংকের আরেক নাম এই আব্দুল খালেক। এবার তার অপরাধ -প্রেমিকাকে চাকরি থেকে বাহির করে দেওয়ায় হামলা চালিয়েছেন একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী মহিলা ও তার স্বামীর উপরে। অভিযোগ তুলেছেন নিউ চায়না বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী সুফিয়া সুলতানা।
তিনি সাংবাদিকদের জানান জুতা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক আর আমি একি মার্কেটে ব্যবসা করি। আমি প্রেগন্যান্ট থাকা অবস্থায় আমার বাড়ির কাজের জন্য এক মেয়েকে রাখি আমার বাড়ির কাজের জন্য। এই লম্পট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক সেই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক সময় তাদের আচার আমার ভালো না মনে হলে আমি কাজের মেয়েকে আমার বাড়ির কাজ থেকে ছেড়ে দিই । তার পর থেকে আব্দুল খালেক আমার কাছে জানতে চাই সে মেয়ের ঠিকানা আমি জানিনা জানালে সে জানায় তার কাছে কিসের যেন টাকা পাবে তাই নিয়ে সে আমার ও আমার শিশু ছেলেকে নানা ভাবে আমাদের মানহানি করে। আমি ৭-৮ বার তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে আমার ছেলেকে নানা ভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আব্দুল খালেক আমাকে তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়। এ সময় আমার স্বামী এলে তার উপরে ও হামলা করে আব্দুল খালেক।
এ বিষয় থানায় একটা অভিযোগ হয়েছে বলে জানান নিউ চায়না বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী সুফিয়া সুলতানা।
আব্দুল খালেক এখন আমার ও পার্লারের নাম খারাপ করতে আমার স্বামীর নামে নানা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন প্রশাসনের কাছে এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে আব্দুল খালেক সাংবাদিক দের অবস্থান টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে চলে যান। তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাকে ফোনেপাওয়া যাইনি।