কলারোয়া

কলারোয়ায় সরকারি রাস্তার নামে টাকা দাবির অভিযোগ।

মোঃ রাসেল হোসেন,

বিশেষ প্রতিনিধি:

 

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশুডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা গ্রামে সরকারি রাস্তা নির্মানের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই গ্রামবাসীর কাছ থেকে রাস্তান নামে টাকা তুলার অভিযোগ উঠেছে মনিরুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে । তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা তার ভয়তে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ।

 

স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকদের জানান, রায়টা মাদ্রাসার সামনে থেকে বুড়ির কালভার্টের মুখ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের একটি রাস্তা অনুমোদন পেয়েছে। তিনি আরও বলেন এই রাস্তা উদ্বোধন হতে এখনো মাস দুয়েকেরও বেশি সময় লাগতে পারে। কিন্তু রাস্তার কোন কাজ শুরু হওয়ার আগেই মনিরুজ্জামান সোহাগ নামে এক জামায়াতে ইসলামী নেতা মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে। কে বা কারা তাকে দিয়ে টাকা উত্তোলন করাচ্চে সেটা জানেন না কেও।

 

এ বিষয়ে সরজমিনে গেলে রব্বানী, কবির, মাহামুদুর, মামুন, রাসেল,সিরাজুল, কাদের, ফারুক টাকা দিয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যাই। এর পরে রব্বানী কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে কলারোয়া উপজেলা বাজারের এক জন ব্যাবসায়ী দাবি করে বলেন শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজে সময় রাস্তার কাজ ভালো ভাবে করতে টাকা দেওয়ার জন্য বললে আমি টাকা দিয়েছি। তবে তিনি এলাকায় বসবাস করতে হবে তাই ভিডিওতে কোন বক্তব্য দেবানা বলে জানান।

 

এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে টাকা চেয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন। কিন্তু কেউ এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এই ছাড়া অনেকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা দিয়েছেন শিকার করলেও বক্তব্য দিতে চাচ্চেন না কোন এক অজানা ভয়ে।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনিরুজ্জামান সোহাগের এক প্রতিবেশী বলেন,শুক্রবার জুম্মার নামাজে শেষ রাস্তার কাজ ভালো ভাবে কারার জন্য সবার কাছ থেকে টাকা দাবি করে। ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নিচ্ছেন রাস্তার কাজের কথা বলে । তবে এই টাকা কোন সরকারি অফিস নিচ্ছে কিনা আমরা জানিনা। তিনি আরো বলেন, বর্তামান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম কে শহর করতে বিভিন্ন রাস্তা নির্মান করছে। আর জামায়াত নেতা সরকারি উন্নায়নের নামে টাকা তুলে নিজের পকেট ভরিয়েছে গরীব মানুষকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

 

 

টাকা উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করতে রায়টা নতুন বাজার ৮ নাং ওয়ার্ড মেম্বার আলী আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি শুনেছি শুক্রবার মসজিদে জুম্মা নামাজের শেষে টাকা চেয়েছিল। সরকারি রাস্তা করতে কোন টাকা লাগে না। যে এই কাজ করছে সে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এটা করেছে।এটি কঠিন শাস্তির বাদি করেন এই মেম্বার।

 

 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান সোহাগের সাথে দেখা করলে তিনি প্রথমে সংবাদিকা দেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তিনি সরকারি পিচের রাস্তার জন্য কোন টাকা তুলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান আমি পিচের রাস্তার পাশ দিয়ে যে রাস্তা পাড়ার দিকে গিয়েছে আমরা সেই রাস্তার জন্য টাকা তুলেছি আর আমি কারোর কাছ থকে ৫০০ টাকার বেশি নেইনি বলে দাবি করেন । তবে তিনি এই বিষয়ে মেম্বার ও চেয়ারম্যানের হেও প্রতিপন্ন করে বলেন এই পর্যন্ত কোনদিন চেয়ারম্যান মেম্বাররা রাস্তার দিকে ফিরেও তাকায়নি। তিনি নিজের টাকায় রাস্তা এই পর্যন্ত মেরামত করে আসছেন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান সোহাগ।

 

 

মনিরুজ্জামান সোহাগের ছোট ভাই বলেন এই রাস্তার ঘেরের মাছ আনা নেওয়া করতে হয় তাই রাস্তাটা আমাদের খুব দরকার তাই এই রাস্তা মেরামতের জন্য টাকা তুলেছে। আপনার ঘেরের রাস্তার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন পড়ার লোকেরা যাতায়াত করে তাই টাকা তোলা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button