মামলা থেকে বাচতে প্রথম স্ত্রী দিয়ে জিতুর নতুন কৌশল।
সানজিদ মাহমুদ সুজন,
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মি জান্নাতুল ফেরদৌস নিলার,সুরাহতাল শেষে,জাজিরা উপজেলা ঈদ গা মাঠে জানাজার নামাজের শেষে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
এ সময় আকস্মিক ভাবেই হাজির হন, নিলার প্রতারক স্বামী, শরীয়তপুরের এখন টিভির ক্যামেরাম্যান আমিন মোহাম্মদ জিতুর প্রথম স্ত্রী পরিচয় দান কারি জাহানারা।
জাহানারা বেগম এখানে এসে অস্বাভাবিক আচরন ও অসংলগ্ন কথা বলতে থাকলে, প্রতিবেশিরা তাকে ঘিরে ধরে,এক পর্যায়ে তিনি পরিচয় দেন, যে সে জিতুর স্ত্রী এবং জিতুকে খুজতে সে এখানে এসেছে।এর পর নিলার পরিবার জাজিরা প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানালে সে দ্রুত এসে, তার সাথে কথা বলেন।তিনি তখন জানান সে জিতুর স্ত্রী এবং সে প্রাথমিকে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষিকা।সে জিতুকে খুজতে এখানে এসেছে।সে এসময় প্রতিবেশিরা ক্ষিপ্ত হলে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে বলেন তার স্বামীকে এরা গুম করে ফেলেছে এবং সে কেউ কিছু বললে আত্মহত্যা করবে।
এসময় সাংবাদিক সকল প্রতিবেশিদের চলে যেতে বলেন এবং তাকে শান্ত করে, রিক্সায় উঠিয়ে তার বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এ নিয়ে নিলার মা ও প্রতিবেশিরা আতংকে রয়েছে।নিলার বোন জামাই রিপন মোড়ল বলেন, স্থানীয় ও বাহিরের কারো সহায়তায় ঐ মেয়ে এখানে এসেছে।কি কারনে এ সময় উপস্থিত হয়েছে আর কেনোই বা হয়েছে তা বুঝতে পারছিনা।আমার ধারনা আমাদের মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে, হয়তো জিতু ও তার পরিবারের সহযোগীরা অনেকে মিলে কোন ছক কষছে।এতে এখন নিরাপত্তা ঝুকি সহ, আগামীতে কোন নতুন অজানা কিছু হয় কিনা তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
নিলার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার আবদুল মান্নান খান বলেন,আমি এদের কর্মকান্ডে মনে ভাবছি, আমার মেয়ের সুরাহতাল রিপোর্ট সঠিক পাবো কি না।
তার প্রশ্ন সাংবাদিকদের কাছে, বাবা আমার মেয়ের কি অন্যায় আমি জানি না,তবে আমি চাই এর বিচার হোক।দেশ স্বাধীন করা কি অপরাধ হয়েছে,আজ আমার সাথে কেনো সবাই অপ্রাসংগিক কথা বলে,আমার মৃত মেয়েকে নিয়ে, কেনো সবাই এমন করছে।জাহানারাই বা এলো কোন খান থিকে?সে এ বাড়ি চিনলো কেমনে?আর আজি তার স্বামীকে খুজতে আসলো,তাও এ বাড়িতে,যে বাড়ির মাইয়া মরছে তার স্বামীরি কারনে?হায়রে বিবেক!
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জসিমউদদীন বলেন, বিষয়টি তাকে অবগত করা হয়েছে।মামলার স্বার্থে এখন এ নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান না।