আদিবাসী নারীদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রগতিশীল, সমাজতান্ত্রিক, সাম্যবাদী চিন্তা ভাবনার হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আদিবাসী নারীদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রগতিশীল, সমাজতান্ত্রিক, সাম্যবাদী চিন্তা ভাবনার হতে হবে। রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সামন্তবাদী চিন্তা নিয়ে আন্দোলন হয় না, এ চিন্তায় সব কিছুই মানববিরোধী। পুঁজিবাদী চিন্তাকেও সামনে রেখে ভাবলে হবে না–
জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)-
সভাপতি বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও নারী প্রগতি সংঘের আয়োজনে ডেইলি স্টার ভবনে ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক মিনু মারিয়া ম্রং। সন্তু লারমা ছাড়াও অতিথি ছিলেন আদিবাসী ফোরামের সহ-সভাপতি অজয় মৃ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপ্তী দত্ত, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও ব্লাস্টের উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজিম তিতিল, নারী প্রগতি সংঘের উপ-নির্বাহী পরিচালক শাহনাজ সুমী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূর, কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি উজ্জ্বল আজিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে লিখিত প্রবন্ধ পাঠক করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সুজয়া ঘাগ্রা।
সন্তু লারমা বলেন, মানুষের নানা ধরনের অধিকার থাকে, তবে আমরা যেটা বেশি বলি সেটা কর্ম, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, সংস্কৃতির অধিকার। একটা জাতি বা গোটা মানুষের জীবন ধারা নিয়ে হয় সংস্কৃতি। এখানে সব ধরনের অধিকার থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সমমর্যাদার জন্য আদিবাসী নারীদের অবশ্যই নিজের চিন্তায় নির্ভর করে, প্রাধান্য দিয়ে পথ চলতে হবে।
দিপ্তী দত্ত বলেন, একটি রাজনৈতিক নিজস্ব পরিভাষা তৈরি করতে হবে। অন্যদের ছায়ায় থাকলে অধিকার আদায় হবে না। নিজের জায়গা গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় আত্ননিয়ন্ত্রণাধিকারসহ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিসহ আটটি সুপারিশ করা হয়।