খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হচ্ছে সবুজায়ন।
শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ.
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন
, বদলে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভবনের চিত্র, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সর্বোৎকৃষ্ঠ পন্থা বৃক্ষরোপণ। বৃক্ষ আমাদের বন্ধুর মত কাজ করে। বৃক্ষ রোদে যেমন ছায়া দেয়, তেমনি আমাদের নানা স্বাদের ফল উপহার দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা ও পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বৃক্ষরোপণ।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকার মাতৃভূমি সবুজায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বৃক্ষরোপণের নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করে থাকে এবং সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার একটি হাতিয়ারও বৃক্ষরোপণ। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরও বেশি সবুজায়ন করতে ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই সহস্রাধিক ফলজ, বনজ, ঔষধি জাতীয় ও সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে উঠবে, তেমনি শোভাবর্ধক বৃক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পাস আরও সৌন্দর্য্যমন্ডিত হবে।
উক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক হলসমূহ, নতুন উদ্বোধনকৃত ক্যাফেটেরিয়ার পাশে, নির্মাণাধীন জয়বাংলা ভবন থেকে ৩নং একাডেমিক ভবন পর্যন্ত রাস্তা, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের মাঝামাঝি নিচু স্থানে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও অপরাজিতা হলের মাঝামাঝি স্থানে, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পাশে ও অদম্য বাংলার পিছনে ও কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২০ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এছাড়া যে সকল স্থানে নতুন করে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে সেসব স্থানের পাশেও বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ প্রজাতির ফলজ ও ৮ প্রজাতির বনজসহ বিভিন্ন প্রজাতির শোভাবর্ধক গাছ রয়েছে। এই বৃক্ষ ক্যাম্পাসকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি এর ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো-তে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কার্বন নিঃসরণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া মানবজাতিসহ প্রাণিকূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে পরিকল্পিতভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন। উক্ত বিষয়ে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবেশ সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি বছরজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান থাকে। এতে একদিকে যেমনি পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে, তেমনি অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এবং এখানে আগত অতিথিরা এই সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হন। সেসব বিষয় খেয়াল রেখেই পরিবেশ সুরক্ষা ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।