অন্যান্য সংবাদ

ওসি নাছির উদ্দীনের দিকনির্দেশনায় জীবননগরে নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর ৩ স্কুলছাত্রী উদ্ধার। 

জুলফিকার আলী,

বিশেষ প্রতিবেদক:

 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে চাঞ্চল্য সৃষ্টকারী ৩ জন স্কুল ছাত্রী একসাথে নিখোঁজের ১০ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করল জীবননগর থানা পুলিশ। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ যুবককে আটক করা হয়েছে।

 

বুধবার (৩ মে) সকাল ৯ টায় উপজেলার কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ী হতে বের হয় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জামিলা খাতুন (১৩), ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (১২) ও একই শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন (১২)। বিদ্যালয়ের ছুটির সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা বাড়ীতে না ফেরায় তাদের বাড়ীর লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় ৩ জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর একসাথে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

 

ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ সহ গনমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। পরবর্তীতে তাদের অভিভাবকেরা কণ্যাদের দ্রুত খুঁজে পাওয়ার জন্য জীবননগর থানা পুলিশের নিকট একটি লিখত দরখাস্ত প্রদান করেন। জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া ৩ জন স্কুল ছাত্রীদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) কে অবহিত করা হয়।

 

পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা সঙ্গীয় অফিসার এসআই (নিঃ) এসএম রায়হান, এসআই (নিঃ) মোঃ নাহিরুল ইসলাম এবং অন্যান্য অফিসার ফোর্সদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নিখোঁজ হওয়া স্কুল পড়ুয়া তিনজন ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার (৪ মে) আনুমানিক ভোর ৪ টায় জেলার দর্শনা থানাধীন ঝাঝরী-বেগমপুর গ্রামে বাবুল মিয়ার ছেলে মোহন মিয়ার বসত বাড়ী হতে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িত জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল মনিনের ছেলে শিহাব (১৮), একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম (১৯), ঝাঁঝরি গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (১৬) ও একই এলাকার ভাসান আলীর ছেলে ইয়াসিন হোসেন (১৮) কে আটক করা হয়।

 

 

আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, উক্ত ভিকটিম ৩ জন স্কুল ছাত্রীদের ফুসলিয়ে কৌশলে অপহরণ করে বৃহস্পতিবার সকালে সতারা ঢাকায় নিয়ে অজানা-অচেনা জায়গায় গোপনে অবস্থান করবে যাতে আত্মীয়স্বজন কিংবা পুলিশ তাদের কোন সন্ধান না পায়। আটকদের অসৎ ও অনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের পূর্বেই জীবননগর থানা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কৌশলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button