অন্যান্য সংবাদ

গোদাগাড়ীতে স্বামীর কাছে ৭ বছর পর সন্তানের ভরণপোষণ দাবি। বিচার না পেয়ে স্ত্রীর মামলা ।

মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল:

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি।

 

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ভরণপোষণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী । মামলা দায়ের করা নারীর নাম মুসলিমা বেগম(৩৮) মুসলিমা বলেন ১৫ বছর হলো আমার স্বামীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই, কেন জানি না শুনেছি তালাক দিয়েছে, আমি জানি না, কোন তালাকের কাগজ আসেনি আমার কাছে । বিয়ের ৭বছর পর নিজের এক সন্তানের ভরণপোষণের দাবি করে রাজশাহীর আদালতে মামলা করেছেন তিনি ৷

 

ওই নারীর দাবি, ৭বছর আগে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী তার পর থেকে স্বামীর কোন খোঁজ নেই, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রামনগর,বোরাপুকুর, শিমুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। তার এক সন্তান মেয়ে বেদেনাকে (১৭) নিয়েই চলছে তার জীবন যুদ্ধ । ২০০১ সালে বিয়ে হওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল সুখের সংসার মুসলিমা দম্পতির, বিয়ের দুই বছর পর, তাদের জীবনে আসে একটি কন্যা সন্তান, তখনই শুরু হয় অশান্তি, কারণ মেয়ে সন্তানটি হয় প্রতিবন্ধী।

 

তার পরে ছেড়ে চলে যান মুসলিমকে তার স্বামী আব্দুল মজিদ। আব্দুল মজিদ (৪৫) পিতা আব্দুল রাজ্জাক বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী সাদ্দিপুর গ্রামে। প্রায় ৭বছর আগে মুসলিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তাদের কোনো ভরণপোষণ দেওয়া হয়নি । তবে তিনি ভরণপোষণ দেবেন না বলে জানালে মুসলিমা মামলা করেন। কারণ, ভরণপোষণ দেওয়ার মতো যথেষ্ট আর্থিক সক্ষমতা আছে আব্দুল মজিদের ।

 

মুসলিম বলেন আদালতে জজ আমার পক্ষে রায়ে ৩ লখ ৯৫ হাজার টাকা দিতে বলেন, প্রথম দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে, আর বাকি ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিচ্ছে না। হাজিরার তারিখ আসলে আমি কোর্টে আসলে ভয়-ভীতি দেখায় যেন আমি কোটে যেতে না পারি ।

 

 

তবে আব্দুল মজিদের এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মজিদ একাধিক বিয়ে করেছে,শুনেছি তার ভাই একটা পুলিশে চাকুরী করে, তার প্রভাব দেখায়, আমরাও ভয়ে থাকি, তবে এই মেয়েটার সমাধান করতে দিচ্ছি না ওই পুলিশ আদর্শ লালচান, একটা সমধাণ করা দরকার, তার পাওনা দাওনা দিলেই ঝামেলা শেষ হয় । জানতে চাইলে মুসলিমা বেগম বলেন, আমার পৈতৃক ভিটা নেই সরকারি খাস জমিতে একটি টিনসেট বাড়িতে থাকি। মানুয়ের বাড়িতে কাজ করি, মাঠে কাজ করে সংসার চালায়। এ দিয়ে কোনো রকমে দিন কাটছে । আমার বয়স হয়েছে। এখন আর এভাবে চলতে পারছি না। সমাধানের চেষ্টা করেছি অনেকের হাত-পা ধরেছি সমাধান এর জন্য সমাধান পাইনি ,বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি ।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button