অন্যান্য সংবাদ

বগুড়ায় কিশোরী মেয়েদের উত্যক্তের ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত দশ!!

 

মিরু হাসান
বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
১৪ জানুয়ারি ২০২৩খ্রিঃ

বগুড়ার শেরপুরে কিশোরী মেয়েদের উত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত দশজন ব্যক্তি আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর তিনজন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা হলেন- আশিক (১৮), সিয়াম (১৭) ও ফেরদৌস আলম (২০)।

এই ঘটনায় শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার (১৩জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী দক্ষিণপাড়া ও ফুলতলা গ্রামবাসীর মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই ইউনিয়নের চকমুকন্দ গ্রামের ফাকা মাঠে বিগত বিশ থেকে পঁচিশ দিন আগে থেকে প্রতিদিন বিকেলে ফুটবলসহ খেলাধুলা করে আসছিল ওই দুই গ্রামের কিশোর-যুবকরা।

একপর্যায়ে ফুলতলা গ্রামের সোহান, বেল্লাল, আব্দুল মমিন ও আব্দুল্লাহ নামের চার যুবক সাধুবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামের দুই কিশোরী মেয়েকে উত্যক্ত করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের স্বজনরা ওই যুবকদের ডেকে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শক্রতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

বাদি জুয়েল আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওইসব বখাটের দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। সেইসঙ্গে বেধড়ক পিটিয়ে তাদের পক্ষের তিনজনকে রক্তাক্ত করেছে। বেল্লাল ও আব্দুল্লাহ কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হওয়ায় তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পায় না। বলতে গেলে তাদের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাই আমার মেয়ে ও ভাতিজিকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত বেল্লাল ও আব্দুল্লাহর বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। তাই তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button